পুষ্টিগুনে ভরপুর এই ফলটি। আমরা যারা বিদেশি ফলের দিকে ঝুকছি মনে করছি বিদেশি ফল গুলোই পুষ্টিগুনে ভরপুর আসলেই কি তাই, মোটেই এরকম না। কলা বিদেশি ফল গুলোর চেয়েও পুষ্টিগুনে অনেক এগিয়ে। এ ফলের দামও খুব কম এবং সহজলভ্য। তাছাড়াও এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম পুষ্টি উপাদান। এর রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা। শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন একটি করে কলা খেতে পারেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কলা খাওয়ার উপকারিতা –
১.হৃদযন্ত্র ভালো রাখে:
কলায় রয়েছে পটাশিয়াম আধার। বিশেষ করে পাঁকা কলায় পটাশিয়াম এর পরিমান বেশি। কলায় বিদ্যমান পটাশিয়াম যা আপনার হৃদযন্ত্র অনেক বেশি সচল থাকবে এবং হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে। তাই প্রতিদিন একটি বা দুটি কলা খেতে পারেন।
২.কিডনি সুস্থ রাখে:
কলায় ভরপুর কার্বোহাইড্রেট ও পটাশিয়াম রয়েছে। একইসঙ্গে স্বল্প পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। যা কিডনি ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে গুরুত্তপূর্ন ভূমিকা রাখে।
৩.শরীরে শক্তি যোগায়:
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা ও সল্যুবল ফাইবার, যা শরীরে শক্তি যোগাতে। এ কারনে দূর্বল রোগীদের কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
৪.হজমে সহায়তা করে:
কলায় রয়েছে প্রেকটিন নামক একটি উপাদান, শরীরের প্রবেশ করা মাত্র ক্ষতিকর উপাদানদের বিরুদ্ধে যুদ্ব ঘোষণা করে। তাছাড়াও কলায় বিদ্যমান ফাইবার ও প্রোবায়োটিক অলিগোস্যাকারাইজড উপাদান যা হজমে সহায়তা করে। যার ফলে শরীর আরও বেশি পরিমাণে পুষ্টি সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে এবং নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ল্যাক্সেটিভ নেন। তারা নিয়মিত পাঁকা কলা খেয়ে দেখতে পারেন।
৫.রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টির জন্য কলার জুড়ি মেলা ভার। কারণ কলায় রয়েছে প্রচুর বিটামিন বি৬, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড সৃষ্টি করে, রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখে এবং হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
৬.পাকস্থলীর আলসার ও বুক-জ্বালা রোধ করে:
কলা থাকা প্রোটেক্টিভ মিউকাস লেয়ার বৃদ্ধির মাধ্যমে পাকস্থলিতে পিএইচ লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে , যা আপনাকে বুক-জ্বালা ও পাকস্থলীর আলসার এর ঝুকি কমিয়ে আনে।
৭. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:
সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় উঠে আসে, পাঁকা কলা শরীরে গুরুত্বপূর্ণ TNF-A নামক এক ধরণের যৌগ সরবরাহ করে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলে। যার ফলে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমে আসে।
৮.ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে:
কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম ও ফাইবার এর মতো পুষ্টি উপাদান যা অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে সহায়তা করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। কম খেলে ওজন কমে এ কথা আমরা সবাই জানি।
৯.অ্যানিমিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমে:
কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। যারা নিয়মিত আয়রন ট্যাবলেট খান তারা খেয়ে দেখতে পারেন কলা। কারণ কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা শরীরে লহিত রক্তকণিকার মাত্রা বৃদ্ধি করার মধ্যে দিয়ে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
১০.শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৃদ্ধি করে:
কলা রয়েছে ডোপামিন, ক্যাটেচিন্স এর মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
What a data of un-ambiguity and preserveness of precious experience about unexpected feelings.
Excellent beat ! I wish to apprentice whilst you amend your website,
how can i subscribe for a blog site? The account aided me a appropriate deal.
I had been a little bit acquainted of this your broadcast provided bright transparent idea
Keep on working, great job!
I every time spent my half an hour to read this webpage’s content everyday along with a cup
of coffee.
You can use it on any operating system to download an Instagram video to a PC or Mac.