আমাদের পরিবারের বড় ছেলে হলে তোমাকে অনেক কথা শুনতে হবে।পরিবারের বড় ছেলে হয়ে জন্মানো মানেই হচ্ছে তুমি দোষ করেছো এই কারণে তোমাকে সবার কথা শুনতে হবে।ছোট ভাই-বোন ভুল করলেও তোমাকেই কথা শুনেতে হবে।
হ্যাঁ,নিয়মটা ভুল হলেও এটাই এখন আমাদের সমাজের নিয়ম।বড় সন্তানরা মায়ের পেট থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করে পৃথিবীতে আসে তাই এরা ভুল করলেও কোনোদিন মেনে নেওয়া যায় না।
যদিও এই বড় সন্তান গুলোই অনেক অনেক বেশি আদরে বড় হয় তবুও তারা সারাজীবন আদরের কারাগারে পরাধীতায় ভুগে।
বড় সন্তানরা চাইলেই নিজের মনের কথা বলতে পারে না। বড় সন্তানরা চাইলেই নিজের অপছন্দের জিনিস গুলোকে ত্যাগ করতে পারে না।
জীবনের একটা পর্যায়ে এসে অসহনীয় মাএায় অসহায় হয়ে পরে,যখন কাউকে ভালোবেসেও বুকে পাথর চাপা দিয়ে ভালোবাসার মানুষটা ছেড়ে দিতে হয় ছোটো ছোটো ভাই-বোনের মুখের দিকে তাকিয়ে।
তাদের কে সবসময় চিন্তা করতে হয় আমি এটা করলে ছোটো ভাই -বোনও এমন করবে তার চেয়ে নিজের ভালো লাগাকেই বিসর্জন দেই।
আমাদের সমাজে একটা পরিবারে বড় সন্তানরাই সবচেয়ে বেশি আদর যত্ন পায়। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের প্রতি আদরের কমতি না হলেও যত্নের কমতি ঠিকই দেখা যায়।
দেখা যায় এরা আদর পেয়ে একটু অলস প্রকৃতির হয়ে পরে।আর সব ক্ষেএে বাধা পেয়ে এরা জীবন এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ টাই পায় না। অথচ আমাদের পরিবারে এদের নিয়েই বাবা-মায়ের স্বপ্ন থাকে বেশি। ১০টা পরিবার ঘুরে দেখলে আপনি দেখবেন ৮টা পরিবারের বড় ছেলে-মেয়েরাই একটু অলস, একটু বোকা,পড়াশোনাতেও পিছিয়ে এর কারণ হলো অতিরিক্ত আদর আর অতিরিক্ত বাধা
আরো অনেক কিছু দেখার ছিলো, আর লিখতে পারছি না।
আমি লিখেই এই নিয়ম বদলাবে না। বড় ছেলেমেয়ে গুলোকেই এসব ফেইস করতে হবে।