পুষ্টিগুনে ভরপুর এই ফলটি। সুস্বাদু ও মুখরোচক ফল লিচুর মৌসুম গ্রীষ্মকাল। এই সময় নানান রকম ফলের ঘ্রানে সুরভিত আশপাশ। লিচুতে আছে ভিটামিন এ ও সি, খনিজ উপাদান। যেমন: ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, কপার, ফলেট যেগুলো রক্তের উপাদান তৈরিতে সাহায্য করে। রয়েছে অ্যান্টি – অক্সিডেনট যা ত্বকের উজ্জল্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাছাড়াও লিচুতে রয়েছে পটাশিয়াম এর মতো উপাদান। যা রক্ত ও নালীর চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ওজন কমতে সাহায্য করে:
এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর মতো উপাদান। যার ফলে দেহের মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। আর আপনার শরীরে যত মেটাবলিজম শক্তি বেশি থাকবে দেহে চর্বি জমা হওয়ার শক্তি কমতে থাকবে। তাছাড়াও অতিরিক্ত ওজন কমতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
ভিটামিন ‘সি’ এর একটি অসাধারণ উৎস হচ্ছে লিচু। তাছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মতো উপাদান। যা বেশ কিছু রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। বিশেষ করে সংক্রমণ জাতীয় রোগ গুলো। যেমনঃ সর্দির সমস্যা, ফ্লু, কাশি ইত্যাদি।
বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে:
বয়স হলে আমাদের ত্বকে বুড়িয়ে যাওয়া ভাব আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা যদি আশানুরুপের তুলনায় বেশি আশে তাহলে অবশ্যই চিন্তার বিষয়। আর রয়সের ছাপ আসার প্রধান কারন হচ্ছে শরীরে তৈরি হওয়া ফ্রি রেডিকেল। এটি রোধ করতে সক্ষম হচ্ছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আর লিচুতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর মত উপাদান। যেহেতু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রড় ভূমিকা পালন করে তাই নিয়ম মেনে খেতে পারেন লিচু।
হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে:
লিচু হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে বেশ ভালো ভূমিকা রাখে। তাছাড়াও লিচু শরীরের খারাপ (LDL) কমায় এবং ভাল (HDL) এর মাত্রা বাড়ায়। এর ফলে কোলেস্টেরল মাএা নিয়ন্তন থাকে।এতে করে হৃৎপিণ্ডের রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক থাকে এবং হার্ট এটাক, স্ট্রোক ও হাইপার টেনশনের ঝুঁকি হ্রাস করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে:
লিচুতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার যা অন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে। লিচু পাকস্থলি এবং কোলন পরিষ্কার রাখতে ভূমিকা পালন করে। এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে লিচু খাবেন। লিচু খাওয়ার উপকারিতা কি এই বিষয়ে ভালো ধারনা দিয়ে থাকলে অবশ্যই আবার ওয়েবসাইট এ ভিজিট করবেন।