মালিকানা অনুসারে নেটওয়ার্ক কত প্রকার ও কি কি?

নেটওয়ার্ক হলো একটি কম্পিউটার সিস্টেম যা বিভিন্ন কম্পিউটারের ইন্টারকানেট সংযোগ সরবরাহ করে। মালিকানা অনুসারে নেটওয়ার্কের প্রকার বিভিন্ন হতে পারে। সরল নেটওয়ার্ক, যেখানে সমস্ত কম্পিউটার একটি কম্পিউটার সংযোগ চালু করে একটি সাধারণ ফাইল ভাগ করতে পারে। নেটওয়ার্ক ফাইল সার্ভার, যা একটি সেন্ট্রালাইজড ডাটাবেস সংরক্ষণ করে এবং কম্পিউটারগুলি তার সাথে যোগাযোগ করে ডাটা নেয়।

এই সেন্ট্রাল ডেটাবেসে সমস্ত কম্পিউটারের জন্য যা দরকার সেটি সংরক্ষিত হয়। অন্য একটি প্রকার নেটওয়ার্ক হলো স্বতন্ত্র নেটওয়ার্ক যেখানে কম্পিউটারগুলি একটি কাজ সম্পাদন করতে পারে যা তাদের কাছে সীমিত হয়। একটি উদাহরণ হলো রাউটার যা ব্যবহার করে একটি বাসার ইন্টারনেট সংযোগের সাথে একটি হোম নেটওয়ার্ক তৈরি করে যেখানে অন্যান্য উপযোগী যন্ত্রগুলি যোগ করে থাকে যাতে তারা একত্রে কাজ করতে পারে।

নেটওয়ার্ক কি?

নেটওয়ার্ক হল পুরোটাই যে কোনও ধরনের ডিভাইস বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ডেটা ও তথ্য সংযোগ স্থাপন করার একটি পদ্ধতি। এটি ডেটা ট্রান্সফার করার জন্য ক্ষুদ্র পরিবেশের ভিত্তিতে গঠিত হয় এবং এর মাধ্যমে পুরো বিশ্বব্যাপী একটি সম্পূর্ণ বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগ থাকে। একটি নেটওয়ার্ক একটি সংখ্যা হতে পারে। একটি নেটওয়ার্ক একটি স্থায়ী বা অস্থায়ী স্থানের ভিত্তিতে অথবা সমস্ত বিশ্বব্যাপী ভিত্তিতে গঠিত হতে পারে।

এখনও বিস্তারিত জানতে চাইলে কমেন্ট করে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

নেটওয়ার্ক সম্পর্কে পরিচিতি

নেটওয়ার্ক বলতে কী বোঝায়? এটি হলো এমন একটি সিস্টেম যা কম্পিউটার, ডিভাইস, সার্ভার ও আরও অনেক কিছুকে একত্রিত করে কাজ করতে সাহায্য করে। একটি নেটওয়ার্ক থেকে তথ্য, ফাইল এবং দেখা যাচ্ছে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে। এটি চোখের মতো না যাক ভাবে কাজ করে, তবে আসলে বেশ সহজ একটি সিস্টেম। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যখন ফেসবুকে লগ ইন করেন তখন ফেসবুকের সার্ভার আপনার একটি কম্পিউটার থেকে আরেকটি কম্পিউটারে তথ্য ট্রান্সফার করে ফেসবুক পেজ খোলেন।

নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আপনি হেল্পডেস্ক পরিষেবা, ওয়েব সার্ভিস ও অন্যান্য সেবা ব্যবহার করতে পারেন। এই সিস্টেমটি হিসাবে পরিচিত হলে আপনি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার কাজ শুরু করতে পারবেন এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন।

নেটওয়ার্ক ব্যবহারের উদ্দেশ্য

নেটওয়ার্ক হল কম্পিউটার কনেকশানগুলির একটি সংগঠিত সারি, যা একটি সিস্টেমের কন্ট্রোল ও পরিচালনা করে। আধুনিক সময়ে নেটওয়ার্ক হচ্ছে দুনিয়ার প্রায় সকল ব্যবসায় ও প্রতিষ্ঠানের মৌলিক অংশ। এটি প্রতিষ্ঠানের যে কোন যান্ত্রিক সুবিধার প্রভাবশীল সংযোজক হিসাবে কাজ করতে পারে, সেটি কোম্পানির নিশ্চিতরূপে বেশ কিছুটা নষ্টপ্রাপ্তি বাঞ্ছনীয় করতে পারে। নেটওয়ার্ক সমস্ত সংযোগ এবং জোড়াগুলি একত্রিত করে দেয় যাতে স্বতন্ত্র ইনফরমেশন স্টোরেজ এবং অ্যাক্সেস দেওয়া হতে পারে যা রক্ষা করা যায়।

এটি দরকারী চাহিদাসমূহ সমস্যা থাকলে খুব সহজে সমাধান করে ব্যবসা দিয়ে জটিল সমস্যাগুলি দূর করে দেয়। বিভিন্ন ব্যবসা প্রক্রিয়া ও কাজের সাথে যেকোন মুহুর্তে অনলাইন সম্পর্ক ও সমন্বয় করা যায়, যা আয়কর নিরীক্ষায় ভাল করে হাতে পাকানো যায়। নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য হল ব্যবসার পরিচালনার সিদ্ধান্তে সাহায্য করা এবং কাজের ক্ষমতা বাড়াতে একটি নিরলক্ষ্য সুপারিশকে তৈরি করা।

See also  নেটওয়ার্ক (Network) কি? নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ, প্রয়োজনীয়তা ও অসুবিধা

নেটওয়ার্ক বিভিন্ন প্রকার

নেটওয়ার্ক হচ্ছে কম্পিউটার এবং আরও অনেক উপকরণ যেখানে সমস্তকিছু একটা সংযোজিত থাকে একটি সিস্টেমে। এর মাধ্যমে একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য পাঠানো এবং গ্রহণ করা যায়। একটি নেটওয়ার্ক শব্দটি ব্যবহৃত হয় এমন সম্পূর্ণ সিস্টেমের জন্য যেখানে পরস্পর সংযোগ থাকে এবং মধ্যবর্তী স্টোরেজ ও সার্ভার ব্যবহার করা হয়। নেটওয়ার্কের একটি বহুল ব্যবহৃত প্রকার আছে, যা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং ওয়ান নেটওয়ার্ক।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক পুষ্ট করে দুইটি বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ আছে। ওয়ান নেটওয়ার্ক একটি সিস্টেম হল যেখানে দুটি উপকরণ সংযোজিত হতে পারে উদাহরণস্বরূপ প্রিন্টার এবং কম্পিউটার। নেটওয়ার্কের উপযুক্তি হচ্ছে বেশ কিছু যেমন ফাইল সংযোগ, ইমেইল পাঠানো এবং ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে প্রোগ্রাম চালানো। নেটওয়ার্ক কে সম্পূর্ণ হতে বড় একটি সিস্টেম হিসাবে ব্যবহার করা হয় এবং প্রতি বছর উন্নয়নের সঙ্গে সম্পূর্ণ একইভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে নেটওয়ার্ক সেটআপ করতে।

মালিকানা অনুসারে নেটওয়ার্ক কত প্রকার?

নেটওয়ার্ক হল একটি ব্যবসায়িক মডেল যা কম্পিউটার সিস্টেমগুলির সংযোগ উপস্থাপন করে। এটি কোন স্থান থেকে অন্য স্থানে সংযোগ স্থাপন করে এবং এসব অর্থনৈতিক সম্পদ ভাগ করে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য উপস্থাপন করে। নেটওয়ার্কে পাচ্ছার কথা আছে তাতে নেটওয়ার্কটি থাকে এমন কারণে এটির পেছনে আছে যে এটির স্থানীয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত উপকরণ একই থাকবে না। নেটওয়ার্ক প্রকারভেদে এবং নিজস্ব উপকরণের তালিকা আছে।

ভেদাভেদে উল্লেখযোগ্য সেই নেটওয়ার্কের মধ্যে এন লেভেল নেটওয়ার্ক, ওয়ান লেভেল নেটওয়ার্ক এবং ম্যান টু ম্যান নেটওয়ার্ক আছে। এছাড়াও মিশ্র নেটওয়ার্ক, সুপারভাইজড নেটওয়ার্ক এবং আরো অনেক প্রকারের নেটওয়ার্ক রয়েছে। প্রতিটি নেটওয়ার্কই নিজস্ব উপকরণ এবং গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা সরবরাহ করে।

একক-হোস্ট নেটওয়ার্ক

মালিকানার জন্য নেটওয়ার্ক বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। তবে, সবচেয়ে সাধারণ প্রকারের নেটওয়ার্ক হল একক-হোস্ট নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্ক হল একটি কম্পিউটার, যেখানে কম্পিউটারটি আগে কাজ এর জন্য ব্যবহৃত হতে পারে, তবে এখন সেটি নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করে। এই নেটওয়ার্কে একটি কম্পিউটার হল সার্ভার এবং অন্য সব কম্পিউটার হল ক্লায়েন্ট মেশিন।

একক-হোস্ট নেটওয়ার্ক খুব সহজে সেটআপ করা যায় এবং মূল কথা হল সেটি খুবই সিম্পল থাকে। একক-হোস্ট নেটওয়ার্কটি সুপারিশকৃত হওয়া হল সরল কাজের জন্য। যেমন, যদি আপনি একটি ফাইল ক্লায়েন্ট মেশিন থেকে একটি সার্ভার মেশিনে পাঠাতে চান তখন এটি আপনাকে খুব সহজে করে দেবে। একক-হোস্ট নেটওয়ার্ক সেটি যে সব ব্যবহারকারীর জন্য উপযোগী এবং সহজবোধ্য করে দেবে সেটি অন্যকে সুপারিশ করা হবে।

কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক

মালিকানা অনুসারে নেটওয়ার্ক পাঁচটি প্রকারে ভেদ করা হয়। প্রথম হল পাবলিক নেটওয়ার্ক, যা সাধারণত প্রায় সবাই ব্যবহার করে। এই ধরনের নেটওয়ার্ক দিয়ে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করি এবং অফিস, বাসা এবং স্কুলে ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় আছে প্রাইভেট নেটওয়ার্ক, যা বাসা এবং অফিসের জন্য ব্যবহার করা হয়।

See also  Proxy Server কি? পরিচিতি, ব্যবহার এবং উদ্দেশ্য

এই ধরণের নেটওয়ার্ক একটি বেসিক নেটওয়ার্ক হিসাবে কাজ করে। তৃতীয় আছে স্টোর এন্ড ফরওয়ার্ড নেটওয়ার্ক। এটি লগিস্টিক্যাল কম্পানির জন্য উপযোগী হয়। চতুর্থ হল কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক, যা বড় কোম্পানি বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত।

এই ধরণের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিভিন্ন অংশের সমন্বয় রাখা হয়। পঞ্চম হল ম্যানেজড সার্ভিস প্রোভাইডার নেটওয়ার্ক, যা বিভিন্ন কোম্পানি এবং কর্মীদের জন্য উপযোগী হয়। এই ধরণের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিভিন্ন সাধারণ সেবা এবং কোম্পানির জন্য সেবা প্রদান করা যায়। এই পাঁচ ধরনের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে নোটবুক, কম্পিউটার, মোবাইল এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস বিন্দুভূক্ত করা যায়।

গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক

গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক বিশ্বের প্রায় সকল দেশে আছে। এই নেটওয়ার্কসমূহ এই দেশগুলোতে নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ ও গোয়েন্দাগণের মাধ্যমে ফাংশন করে। নেটওয়ার্ক হল একটি সংগঠিত প্রক্রিয়া যা এমন একটি সমন্বিত গ্রুপিং নেতিবাচক তথ্যসংস্করণ নেটওয়ার্ক তৈরী করে যা একটি দিনশেষ কাজ করে এমন পয়েন্ট থেকে সংগৃহীত তথ্যকে শ্রমপরিচয় দিলে। আমরা প্রায় সকল জায়গায় দেখতে পাই যে একটি দেশের নেটওয়ার্ক আর একটি দেশের নেটওয়ার্ক একই নয়।

উদাহরণ স্বরূপ, একটি দেশের নেটওয়ার্ক হতে পারে গোয়েন্দাগণের নিয়ন্ত্রণে এমন একটি সিস্টেম যেখানে নেটওয়ার্কে কনেক্টড উপকরণগুলির MAC Address একটি সেন্ট্রাল সার্ভারে সংরক্ষণ করে থাকে। অন্যদিকে, একটি অন্য দেশের নেটওয়ার্ক হতে পারে কম্পিউটার একটি নোটবুকে সাইবার আতঙ্ক বিরোধী একটি স্যস্টেম। সুতরাং, একটি নেটওয়ার্ক অনুসারে মালিকানা এবং কাজ করতে পারে একেকটি প্রকারে।

মিশ্র নেটওয়ার্ক

নেটওয়ার্ক বলতে মানে হল যে একটি সিস্টেম যা কম্পিউটার ডিভাইসের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে এবং তথ্যগুলি প্রতিস্থাপন করে। নেটওয়ার্কগুলি একটি বা একাধিক প্রকার মালিকানা অনুসারে ক্লাসিফাই করা হয়ে থাকে। সিঙ্গেল অফিস নেটওয়ার্ক, বিগ অফিস নেটওয়ার্ক এবং মিশ্র নেটওয়ার্ক। সিঙ্গেল অফিস নেটওয়ার্কগুলি হল ছোট ব্যবসার জন্য এবং বিশেষত ব্যবহারকারীদের জন্য।

বিগ অফিস জন্য নেটওয়ার্কগুলি সুবিধাজনক হতে পারে না কারণ এটি ভারী ট্রাফিক সম্পন্ন হতে পারে। সবচেয়ে প্রকার, মিশ্র নেটওয়ার্কগুলি স্বভাবিকভাবে সিঙ্গেল এবং বিগ অফিসের মধ্যে উপস্থিত হয়। এটি বৃদ্ধি পানে এবং ব্যবসার জন্য একটি উচ্চ স্তরের নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করে। যেমন ব্যক্তিগত ব্যবসায়, কম্পানি, শিক্ষা ইনস্টিটিউট এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মিশ্র নেটওয়ার্কের ব্যবহার হচ্ছে।

মিশ্র নেটওয়ার্ক একটি কমপ্লেক্স হওয়ার জন্য কারণ হল এটি বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক একত্রিত করে তোলে। এটি হাইব্রিড নেটওয়ার্ক হিসেবে চিহ্নিত করা হয় যা কম্পিউটারের জন্য সম্পূর্ণ ব্যবহার প্রদান করে এবং নেটওয়ার্কে সমন্বয় তৈরি করে।”

Leave a Comment